হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, মার্কিন স্বার্থের জন্য গণতান্ত্রিক পাকিস্তান জরুরি। গতকাল সোমবার শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ কথা বলেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের মদদে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা হারিয়েছেন ইমরান।
পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের বিপক্ষে ভোট পড়েছিল ১৭৪টি। সমান সংখ্যক ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাজ শরিফ।
শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইমরান খান বলেছেন, দেশের জন্য এর চেয়ে বড় অপমান আর হয় না।
পাকিস্তানের কোনো ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেন সাকি বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সংবিধানের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখাকে সমর্থন করি, আমরা কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে অপরটির চেয়ে বেশি সমর্থন করি না।
জেন সাকি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নিশ্চিতভাবে’ আইনের শাসন এবং আইনের অধীনে সমতার ন্যায়বিচার সমর্থন করে। দীর্ঘদিনের সহযোগী পাকিস্তানকে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তান মার্কিন স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।
জেন সাকি বলেন, নেতৃত্বে যেই থাকুক, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করবেন কি না, সে ব্যাপারে জেন সাকি বলেন, ভবিষ্যতের বিষয় নিয়ে এই মুহূর্ত এবং সময়ে কোনো কিছু অনুমান করা যায় না। নিশ্চিতভাবে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখবো।
তবে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেন কখনোই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেননি।