পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের বিষয়ে ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক মনোভাবে অসন্তুষ্ট তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তবুও মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দলকে পাকিস্তান সফরে নিতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট নেতা এবং প্রবাসী পাকিস্তানিদের বিষয়ে পিটিআই চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আতিফ খান বলেছেন, আমরা হাউসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাদের পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।
২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে ধারাবাহিকভাবে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন। এটিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উল্লেখ করে বারবার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছে তারা।
পাকিস্তান ইস্যুতে সবশেষ বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ঘটনায় নিজেদের মতামত দিয়ে থাকে। তবে ইমরানের সাজা ও পরবর্তী দণ্ডের বিষয়ে তাদের কিছু বলার নেই।
তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটে… যেগুলো এতটাই ভিত্তিহীন যে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, বিষয়গুলো সম্পর্কে কিছু বলা উচিত। কিন্তু এখানে (ইমরানের গ্রেফতার) আমরা তেমন কিছু দেখছি না।
মিলারের এই বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই আশাহত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী পিটিআই সমর্থকরা। তারা ইমরান খানকে মুক্ত করতে ইসলামাবাদ সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ প্রয়োগের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লবিং চালিয়ে আসছেন।
ম্যাথিউ মিলারের বক্তব্যের বিষয়ে ইমরান খানের উপদেষ্টা আতিফ খান বলেন, হ্যাঁ, এটিই এখন মার্কিন প্রশাসনের নীতি বলে মনে হচ্ছে। তবে তা পরিবর্তিত হবে। আর কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল যদি পাকিস্তান সফর করে, তাহলে সেই পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
টেক্সাস থেকে আরেক প্রভাবশালী পাকিস্তানি তাহির জাভেদ অবশ্য বাইডেন প্রশাসনের মনোভাবে খুব শিগগির পরিবর্তন আসার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না।
গত সোমবার হোয়াইট হাউসের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জাভেদ। তিনি বলেছেন, অনুষ্ঠানের অতিথি বা আয়োজক কারও মধ্যে পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ দেখা যায়নি।
জাভেদের কথায়, তারা এই বিষয়ে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়ার আগে ঝড়টি বয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।