মাঝ আকাশে ঘুমিয়ে পড়া ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের দুই পাইলটকে তদন্তের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সোমবার সুদানের খার্তুম থেকে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা যাওয়ার সময় এই দুই পাইলট ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা এফএএনএ’র বরাত দিয়ে আল এরাবিয়া নিউজ আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির তথ্যমতে, দুইজন পাইলটই বিমানের অটোপাইলট সিস্টেম চালু করে ঘুমিয়ে পড়েন।ফলে বিমানটি নির্দিষ্ট সময়ে অবতরণ না করে রানওয়ের ওপর দিয়ে উড়ে চলে যায়। অটোপাইলটের কারণে বিমানটি ৩০ হাজার ফুট উপরে চলে যায়। বোয়িং ৭৩৭ বিমানটিতে ১৫৪ জন যাত্রীর ধারণক্ষমতা ছিল।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইট রাডার ২৪-এর তথ্যমতে, এক ঘন্টা ২৯ মিনিট মিনিট যাত্রা করার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি এক ঘন্টা ৪৯ মিনিট সময় নিয়েছে।
এভিয়েশন হেরাল্ডের মতে, ইটি৩৪৩ ফ্লাইটটি বিমানবন্দরের কাছে এসেও অবতরণ শুরু না করলে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সতর্কতা জারি করে। পাইলটরা ঘুমিয়ে পড়ায় বোয়িং ৭৩৭-এর অটোপাইলট সিস্টেম বিমানটিকে ৩৭ হাজার ফুট ওপরে নিয়ে যায়। এটিসি পাইলটদের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বিমানটি যখন রানওয়ের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল, তখন অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় অটোপাইলটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সবশেষে অ্যালার্ম বাজিয়ে পাইলটদের ঘুম ভাঙ্গানো হয়। ভাগ্যক্রমে এই ঘটনায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসে তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘তদন্তের ফলাফল পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবসময় আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল নিরাপত্তা, এবং তা অব্যাহত থাকবে। ‘
এদিকে এভিয়েশন বিশ্লেষক অ্যালেক্স মাচেরাস ঘটনাটিকে ‘গভীর উদ্বেগজনক’ মন্তব্য করে টুইট করেছেন। পাশাপাশি পাইলটদের ক্লান্তিকেও দায়ী করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘পাইলটদের ক্লান্তি নতুন কিছু নয়। এবং আন্তর্জাতিকভাবে ফ্লাইট নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর মধ্যে এটি একটি। ‘