মাঝআকাশে আচমকাই একটি রুটিন ফ্লাইট পরিণত হলো স্মরণীয় মুহূর্তে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটে সেনেগালের ডাকার থেকে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসগামী প্লেনে, যখন এক গর্ভবতী যাত্রী প্রসববেদনায় কাতর হয়ে পড়েন।
সেই কঠিন মুহূর্তে এগিয়ে আসেন বিমানটিতে থাকা একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স। আর ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট জেনিফার জোয়ে তাদের সহায়তায় মাঝআকাশেই শিশুটির জন্ম নিশ্চিত করেন।
প্রসবের নাটকীয় মুহূর্ত
এনডাইয়ে নামের ওই যাত্রীর প্রসববেদনা শুরু হলে কেবিন ক্রুরা তাকে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামে সহায়তা করেন। তবে কিছুক্ষণ পরই তার পানি ভেঙে যায়।এতে পাইলটরা দ্রুতই বিমানটিকে আবার ডাকারে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে সেখানে অবতরণের আগেই শিশুটির জন্ম হয়।পরে যার নাম রাখা হয় ফান্তা।
ফ্লাইট ক্রুর অসাধারণ ভূমিকা
বিমান সংস্থাটি লিঙ্কডইনে এক আবেগঘন বার্তায় জানায়, প্রথম মুহূর্তগুলো ছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাপূর্ণ—বাচ্চাটি ঠিক আছে তো? সে শ্বাস নিচ্ছে তো? আর তারপরই কেবিনে ভেসে এলো সবচেয়ে সুন্দর সেই শব্দ—তার প্রথম কান্না!
মা ও নবজাতকের অবস্থা
একজন ডাক্তার পরে নিশ্চিত করেন যে, মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন। বিমান অবতরণের সময় কবিন ক্রু জেনিফার ছোট্ট ফান্তাকে কোলে নিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, এটা এক জাদুকরী অভিজ্ঞতা। কেবিন ক্রু হিসেবে প্রশিক্ষণ থাকলেও, বাস্তবে এর মুখোমুখি হওয়া একেবারেই ভিন্ন অনুভূতি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস
এদিকে ব্রাসেলস এয়ারলাইনস ইনস্টাগ্রামে শিশুটির ছবি পোস্ট করে লিখেছে, আমরা আশা করি, একদিন তোমাকে আবার আমাদের বিমানে স্বাগত জানাতে পারব!
এ সময় অনেকেই দাবিপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন, শিশুটি কী ব্রাসেলস এয়ারলাইনসের আজীবন বিনামূল্যের টিকিট পাওয়ার যোগ্য নয়?