English

28 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৮, ২০২৫
- Advertisement -

মন্দার ঝুঁকিতে অস্ট্রেলিয়া

- Advertisements -

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় চরম মূল্যস্ফীতির কবলে পড়েছে অস্ট্রেলিয়াও। তাই উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় সম্প্রতি সুদহার বাড়িয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে দেশটির অর্থনীতিতে নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

পাশাপাশি প্রয়োজনমাফিক সুদহার আরও বাড়ানো তথা কঠোর আর্থিক নীতির ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে দেশটির অর্থনীতি বড় ধরনের মন্দার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, প্রায় এক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিএ) গভর্নর ফিলিপ লুই সফলভাবে মূল্যস্ফীতি কমানোর বিষয়ে কথা বলছেন। এ সময়ে দেশটির বেকারত্বের হার ৫০ বছরের সর্বনিম্ন স্তরের কাছাকাছি রেখেছেন। কিন্তু গভর্নরের সাম্প্রতিক বক্তব্যে পরিবর্তন এসেছে। বিস্ময়করভাবে সুদহার বাড়িয়ে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ করেছেন এবং প্রয়োজনে আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, কর্মসংস্থান নিশ্চিতের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

আরবিএ এপ্রিলে সুদহার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল। এ ধরনের পরিবর্তনের পর অর্থনীতিবিদরা আগেই ভেবেছিলেন সুদহার আরও বাড়ানো হতে পারে। তারা কমপক্ষে আরও একটি বৃদ্ধি এবং মন্দার ঝুঁকি বিবেচনা করেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও গ্লোবাল কমোডিটিজ বিভাগের এইচএসবিসির চিফ ইকোনমিস্ট পল ব্লক্সহ্যাম বলেন, “বর্তমানের নির্ধারিত সুদহার বৃদ্ধির বিষয়টিকে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি স্থগিত তথা শ্লথ করার ঝুঁকি হিসেবে দেখছি। এতে সর্বোচ্চ মন্দার ঝুঁকি রয়েছে।”

পল ব্লক্সহ্যামের মতে, আগামী চার প্রান্তিকের প্রতি প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হবে গড়ে মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। ফলে অর্থনীতিতে মন্দা পরিস্থিতির তৈরির সম্ভাবনা ৫০ ভাগ। এছাড়া ব্লক্সহ্যামের প্রত্যাশা, ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রিজার্ভ ব্যাংক সুদহার পুনরায় কমাতে শুরু করবে।

কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্কলন বলছে, চলতি বছরে দেশটিতে মন্দার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ। সর্বশেষ প্রান্তিকে অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। এছাড়া ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে বেকারত্ব হার ৪ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এরই মধ্যে নিম্নস্তর বা ধীরগতির দিকে যাচ্ছে। এ সপ্তাহের তথ্য দেখাচ্ছে, মার্চ পর্যন্ত দেশটির অর্থনীতি মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতির প্রভাবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সঞ্চয় ও খরচ উভয়ই কমিয়ে দিয়েছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন