কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমের কর্মীদের ‘দুই পয়সার সাংবাদিক’ বলে বিতর্ক ছড়িয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। উচ্চ শিক্ষিতা মহুয়ার ওই মন্তব্যে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বয়ে যায় রাজ্য জুড়ে। পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে নামতে হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জিকে। আর এবার চড় মেরে বসলেন মমতার দলেরই এক বিধায়ক।
মনের মতো সংবাদ প্রকাশিত না হওয়ায় মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিককে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর বিরুদ্ধে। গত সোমবার অল্পেশ মন্দিরে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভলপমেন্ট অথরিটির এক অনুষ্ঠানের সভামঞ্চ থেকে জেলাপরিষদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অনন্তদেব। সেই খবর পরিবেশন করেন বর্তমান পত্রিকার ময়নাগুড়ির সাংবাদিক সোমনাথ চক্রবর্তী। কিন্ত সেই খবর তৃণমূল বিধায়কের মনের মতো হয়নি বলেই অভিযোগ।
এরপর গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ময়নাগুড়ি ফুটবল ময়দানে ওপেন জিম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব। এসময় বর্তমান পত্রিকার সাংবাদিক সোমনাথ চক্রবর্তীকে ডেকে আনেন। কেন তার বিরুদ্ধে খবর পত্রিকায় প্রকাশিত করা হয়েছে তা জানতে চান ওই বিধায়ক, চলে হুমকি প্রদর্শন। একসময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই মধ্যে মেজাজ হারিয়ে তৃণমূল বিধায়ক সাংবাদিক সোমনাথ চক্রবর্তীকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েন বিধায়কের সাথে উপস্থিত থাকা দলের অন্য নেতা-কর্মীরা। ওই ঘটনার পরই স্থানীয় থানায় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সোমনাথ।
এদিকে সাংবাদিককে চড় মারার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই তাকে নি:শর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। যদিও চড় মারার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত বিধায়ক অনন্তদেব।