ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বেশকিছু আরব দেশ তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে অনেক ফ্লাইট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কবে নাগাদ বিমান চলাচল শুরু হবে তাও স্পষ্ট নয়।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইরান ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ছাড়লে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত অক্টোবরে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি ফ্লাইট স্থগিত করার পর গত মাসের শুরুতে তেল আবিবে ফ্লাইট পুনরায় চালু করা হলেও ইসরায়েল তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে রেখে। জর্ডান ও ইরাকও তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
এর আগে মধ্যপ্রাচ্যে এই অস্থিরতার কারণে শনিবার রাতে ওয়াশিংটনের ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জর্ডানের আম্মানে ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ রোববার তাদের নিউ ইয়ার্ক-দুবাই ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার২৪ জানিয়েছে, শনিবার তেল আবিব ও আম্মানগামী একাধিক ফ্লাইটের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। বিমান সংস্থাগুলোও আজ রোববারের নির্ধারিত পরিষেবা বাতিল করেছে।
ইসরায়েলের এল আল এয়ারলাইন রোববারের ২০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। থাইল্যান্ড থেকে ইসরায়েলগামী দুটি এল আল ফ্লাইট ব্যাংককের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীদের অবহিত না করা পর্যন্ত বিমানবন্দরে আসতে মানা করেছে বিমান সংস্থাটি।
এমিরেটস এয়ারলাইন তাদের দুবাই-আম্মান রুটে রোববারের নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করেছে। এয়ার ফ্রান্সের ইসরায়েলগামী ফ্লাইট রোববারের জন্য বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজও রোববার তেল আবিবগামী দুটি ফ্লাইট বাতিল করেছে এবং আম্মানগামী একটি ফ্লাইট বাতিল করেছে। লুফথানসাও ইসরায়েলে তাদের সেবা বাতিল করেছে।