শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। তবে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। সংঘাত শুরু হওয়ার পর কিগপেনসহ ১০ জন কুকি জনপ্রতিনিধি পৃথক কুকি প্রশাসনিক কাঠামোর দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি ছাড়াও আরো ছয়জন বিজেপি বিধায়ক এই দাবি জানিয়েছেন। তার বাড়িতে হামলার ঘটনায় মেইতেইরা যুক্ত বলে স্থানীয় সংবাদপত্রের একটি অংশ দাবি করেছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের ১২ জনের মন্ত্রিসভায় অন্যতম সদস্য কিগপেন। জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন এই কুকি প্রতিনিধি।
গত ২৪ ঘণ্টায় এই অঞ্চলে অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
বহু মানুষ আহত এবং ঘরছাড়া। বিভিন্ন এলাকায় এখনো গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানী ইম্ফলসহ একাধিক জায়গায় কারফিউ চলছে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি মণিপুরে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন। সেনা এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের নেতৃত্বে একটি শান্তিরক্ষা কমিটি তৈরি হয়। কিন্তু মেইতেই এবং কুকি দুই পক্ষই ওই শান্তিরক্ষা কমিটি মানতে রাজি হয়নি।