আদিল রাজা বলছেন, বেশ কয়েকজন প্রথম সারির পাক অভিনেত্রীকে ‘হানি ট্র্যাপ’ করা হতো। অর্থাৎ সৌন্দর্য বা যৌনতার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করত পাকিস্তান সেনাবাহিনী।,
আদিল রাজা এখন আপাদমস্তক একজন ইউটিউবার। তিনি এখন পাকিস্তান থাকেন না। বর্তমানে তিনি ‘সোলজার স্পিকস’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালান। গ্রাহক প্রায় তিন লাখ। সেই চ্যানেলের সাম্প্রতিকতম এপিসোডে তিনি এই বিস্ফোরক দাবি করেন।,
আদিল রাজা তার চ্যানেলের ভিডিওটিতে বলেছেন, পাকিস্তানি রাজনীতিবিদদের ফাঁদে ফেলতে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল কামার বাজওয়া এবং পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদ কয়েকজন পাকিস্তানি অভিনেত্রী এবং মডেলকে ব্যবহার করতেন। কিন্তু কয়েকজন অভিনেত্রীর নামের দুটি করে বর্ণ উল্লেখ করেছেন। যেমন : এমএইচ, এমকে, কেকে, এসএ।
নেটিজেনদের ধারণা, এসব অভিনেত্রী হলেন- মেহুশ হায়াত (এমএইচ), মাহিরা খান (এমকে), কুবরা খান (কেকে), সজল আলী (এসএ)।,
আদিল রাজার এমন মন্তব্যের পর হৈচৈ পড়ে গেছে নেটদুনিয়ায়। আর তার এ দাবি নিয়ে এখন উত্তাল পাকিস্তান। পাকিস্তানি তারকারাও দিয়েছেন জবাব, এমন বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষোভে ফুঁসছেন উল্লেখিত অভিনেত্রীরা। এই মন্তব্যের জন্য আদিলকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন তারা। ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।,
বোমাটা ফাটিয়েছেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর আদিল রাজা। তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, তারা দেশটির অভিনেত্রী, মডেল দিয়ে রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষের জন্য ফাঁদ পাতত। আদিল রাজা তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে এই অভিযোগ করেন। তিনি সংক্ষেপে কয়েকজন অভিনেত্রীর নামও উল্লেখ করেন।,
‘অভিনেত্রী, মডেল দিয়ে রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষের জন্য ফাঁদ পাতা হতো’ সাবেক মেজরের এই বক্তব্যই ঝড় তুলতে যথেষ্ট। বাস্তবে হয়েছেও তা-ই। পাকিস্তানের বিনোদন দুনিয়ার তারকারা ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিষয়টি পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন অন্যতম চর্চিত বিষয়।