ভয়াবহ বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের কেরালা। এখন পর্যন্ত শিশুসহ ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। নিখোঁজদের উদ্ধারে চলছে অভিযান।
গেলো কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কেরালায় বন্যার পাশাপাশি ভূমিধস দেখা গিয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে অনেক মানুষ। কোট্টায়ামের ১৩ এবং ইদুক্কিতেই ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বৃষ্টিকে কেন্দ্র করে কেরালার পাঁচটি জেলায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠে এসেছে ধ্বংসযজ্ঞ চিত্র।
টানা বৃষ্টির জেরে বাঁধগুলোতে পানির চাপ বাড়ছে। ফলে বেশ কয়েকটি বাঁধের দরজা খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। কোট্টায়াম ও ইদুক্কি জেলায় ভূমি ধসের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১১টি দল কাজ করছে। তবে আবহাওয়ায় খারাপ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। গোটা কেরালাজুড়ে প্রায় ১০৫ টি রিলিফ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে।
আরব সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টিতে এ বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে গোটা রাজ্যে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রবিবার কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও বলেছেন, পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। সাম্প্রতিক কালে এমন বৃষ্টি অনেকদিন হয়নি কেরালায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘কেরালার বন্যা বিধ্বস্ত সব এলাকার খোঁজ নিচ্ছি আমরা। কেন্দ্রীয় সরকার এমন পরিস্থিতিতে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছে। এনডিআরএফ ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। সকলের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করি।’
২০১৮ সালে কেরালায় শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ৪০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছিলো ও গৃহহীন হয়েছিলেন ১০ লাখের বেশি মানুষ।