ভারতের উত্তরপ্রদেশের মইনপুরে ১৭ বছর বয়সী কিশোরীকে ভুল ইনজেকশন দিয়েছেন বলে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবার অভিযোগ করেছে, ওই প্রাইভেট হাসপাতালের কর্মীরা মোটরসাইকেল রাখার পার্কে লাশ ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছেন। এমনিকে তাদের জানানোও হয়নি যে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে কি না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনরোষের ভয়ে চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কর্মীরা পালিয়ে যায়। ওই তরুণীর পরিবার ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছে। ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে মৃত এক তরুণী পড়ে আছে।
ভুক্তভোগী ওই তরুণীর নাম ভারতি। গত মঙ্গলবার তার জ্বর হওয়ায় ঘিরর এলাকার কারহাল রোডে তাকে রাঁধা স্বামী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তরুণীর আন্টি মনীষা।
তিনি বলেন, গত বুধবারেও পুরোপুরি ভালো ছিল। এরপর চিকিৎসক তাকে একটি ইনজেকশন দেয়। এতে তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। মনীষা অভিযোগ করেন, ভারতির অবস্থা অনেক খারাপ হতে থাকলে চিকিৎসক তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু ততক্ষণে ভারতি মারা গেছে।
ওই হাসপাতালে একজন কর্মকর্তাকে পাঠান জেলা প্রধান মেডিকেল অফিসার আরসি গুপ্ত। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক বা কর্মী নেই।
আরসি গুপ্ত জানান, হাসপাতালে একজন রোগী ছিলেন যার অস্ত্রোপচার চলছিল। তাকে কাছের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এরপরেই ওই হাসপাতাল সিলগালা করা হয়।
পুরো এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।