চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ টমাস টুখেল। তবে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণভোমরা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। প্রথম লেগে স্বাগতিকদের মাঠে ২-২ ব্যবধানে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
মঙ্গলবার (৩০এপ্রিল) দিবাগত রাত বায়ার্নের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ এরিনায় খেলতে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে মাদ্রিদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এ ছাড়াও বায়ার্নের হয়ে হ্যারি কেইন এবং লিরয় সানে একটি করে গোল করেন।
এদিন ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে বায়ার্ন। তৃতীয় মিনিটে গোলের সুযোগও পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। হ্যারি কেইনের বাড়ানো বল বক্সের ভিতরে থেকে শট করেন সানে। তবে দুর্দান্ত ভাবে সেই জোরালো শট রুখে দেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক লুনিন।
ম্যাচে প্রথম ১৫ মিনিট ছিল স্বাগতিকদের। একের পর এক আক্রমণ করে মাদ্রিদের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখে বাভারিয়ানরা। তবে সেই ধাঁক্কা সামলে নিজেদের চেনার রুপে ফিরার চেষ্টা করতে থাকে ভিনি-রদ্রিগোরা। মাচের ২৪তম মিনিটে বায়ার্ন দর্শকদের সামনে নিজেদের আসল রূপ দেখায় রিয়াল।
মাঝ মাঠ থেকে প্রতিপক্ষের গোলবারের দিকে বল বাঁড়ান টনি ক্রস। সেই বল পেয়ে দুর্দান্তভাবে নইয়ারকে পরাস্থ করে বায়ার্নের জলে বল পাঠান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এরপর গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা।
তবে সেই আক্রমণ সামাল দিয়ে ছোট ছোট পাশে এগোতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ৪০ মিনিটের দিকে চুয়ামেনির ফাউলে বক্সের কাছে ফ্রি কিক পায় বায়ার্ন। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কেইন। ৪৩ তম মিনিটে বেলিংহামকে অবৈধভাবে আটকানোর চেষ্টা করে হলুদ কার্ড দেখেন মাজরোউই।
রদ্রিগোর নেওয়া শট মাথা দিয়ে পরাস্থ করেন কেইন। এতে কর্ণার পায় মাদ্রিদ। তবে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সফরকারীরা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে বায়ার্ন। আট মিনিটের মাথায় গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। ৫৩তম মিনিটে লাইমের বাঁড়ানো বল থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মিডফিল্ডার লিরয় সানে। এরপর ৫৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেইন।
এরপর আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ৭৫তম মিনিটে বেলিংহাম এবং টনি ক্রসকে তুলে নেয় মাদ্রিদ বস আনচেলিত্তো, এবং মাঠে নামেন লুকা মদ্রিচ এবং ব্রাহিম। ৮২তম মিনিটে রদ্রিগোকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন কিম মিনজাই। এতে পেনাল্টি পায় রিয়াল।
পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিয়ুস। শেষ দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বায়ার্ন। তবে শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়েন রিয়াল মাদ্র্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ।