পাকিস্তানের নাগরিক বালাম রাম। তিনি স্ত্রী নিম্বু বাঈ ও সন্তানদের নিয়ে ভারতে যান ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে ও তীর্থ ভ্রমণের জন্য। কিন্তু তখন ছিলো মহামারি করোনার প্রকোপ। শুরু হয় লকডাউন। এরপর তাদের সঙ্গে থাকা কাগজপত্রে কিছু ভুল থাকায় আটকা পড়তে হয় ভারত-পাকিস্তানের আটারি সীমান্তে। শুধু তারা নন, গত ৭০ দিন ধরে ৯৯ পাকিস্তানি এমন ঝামেলার কারণে বাস করছেন ওই সীমান্তে। এর মধ্যে গত ২ ডিসেম্বর নিম্বু বাঈয়ের শুরু হয় প্রসব বেদনা। জন্ম দেন একটি পুত্র সন্তান। আটারি বর্ডারে জন্ম নেওয়ায় ছেলের নাম রাখা হয় ‘বর্ডার’।
হিন্দুস্তান টাইমস এর খবরে বলা হয়েছে, গত ২ ডিসেম্বর পাকিস্তানের নাগরিক বালাম রামের স্ত্রী নিম্বু বাঈয়ের প্রসব বেদনা শুরু হয়। তখনই আশেপাশের পাঞ্জাবি গ্রাম থেকে বেশ কয়েকজন নারী ছুটে আসেন নিম্বু বাঈকে সাহায্য করতে। সেখানেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন নিম্বু বাঈ।
নিম্বু বাঈ বলেন, ‘আমার ছেলের নাম বর্ডার। আমরা ছেলের এই নাম রেখেছি। কারণ সে সীমান্তে জন্ম নিয়েছে।’
বালাম রাম পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজনপুর জেলার বাসিন্দা। ২ ডিসেম্বরের আগেই নিজ গ্রামে ফিরতে চেয়েছিলেন বালাম। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় পাঁচ সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে সেখানে ফিরতে পারেননি তিনি।
পাঞ্জাব পুলিশের প্রটোকল অফিসার অরুণ পাল জানান, নিম্বুর প্রসব বেদনার সময় অন্য নারীদের সাহায্য পেয়েছেন।
তিনি জানান, নবজাতক ও তার পরিবার ছাড়া বাকি সব পাকিস্তানি হিন্দুরা গত সোমবার ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে গেছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া পাকিস্তানি কর্মকর্তারা শিশুটিকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন।