দিল্লি হাই কোর্টে এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছিল আদালত। কোন কোন প্রজাতির কুকুর ‘ভয়ঙ্কর’ এবং সেগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত তা চিহ্নিত করার জন্য আদালতের নির্দেশে একটি প্যানেল গঠন করে কেন্দ্র।
এরপর ২৩টি প্রজাতির পোষ্য কুকুরকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে চিহ্নিত করে সেই প্যানেল। তার পরই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর কাছে এই মর্মে নোটিশ পাঠায় কেন্দ্র। রাজ্যগুলোর প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে ওই প্রজাতির কুকুর বিক্রি ও প্রজননে লাইসেন্স দিতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে যাদের কাছে এই প্রজাতির কুকুর পোষ্য হিসেবে রয়েছে, সেই সব কুকুরের প্রজনন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
কোন কোন প্রজাতির কুকুরকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে? কেন্দ্র যে তালিকা দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, পিটবুল টেরিয়ার, আমেরিকান বুলডগ, রটওয়েলার, তোসা ইনু, আমেরিকান স্ট্র্যাফোর্ডশায়ার টেরিয়ার, ফিলা ব্রাসিলেইরো, ডোগো আর্জেন্টিনো, বোয়ারবোয়েল কাঙ্গাল, সেন্ট্রাল এশিয়ান শেপার্ড, ককেশিয়ান শেপার্ড। এ ছাড়াও রয়েছে, সাউথ রাশিয়ান শেপার্ড, টর্নিয়াক, সারপ্ল্যানিনাচ, জাপানিজ় তোসা, আকিতা, ম্যাসটিফস, রোজেশিয়ান রিজব্যাক, উল্ফ ডগ, ক্যানারিয়ো, আকব্যাশ ডগ, মস্কো গার্ড ডগ, কেন করসো ও ব্যানডগ।