ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হতেই এক্সিট পোলের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। এ সময় দেশটিতে লাফ দিয়ে বেড়েছিল শেয়ার বাজার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, শেয়ার বাজারের পতন হওয়ার পরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ভারতে লোকসভা নির্বাচন ঘিরে ‘সবচেয়ে বড় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির’ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জড়িত উল্লেখ করেন বিষয়টি তদন্তে একটি যৌথ পার্লামেন্টারি কমিটি (জেপিসি) গঠনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, প্রথমবার দেখলাম প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা শেয়ার বাজার ও সেখানে বিনিয়োগ করা নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু কেন পাঁচ কোটি বিনিয়োগকারীকে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিলেন তারা? বিনিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দেওয়া তো তাদের কাজ নয়।
৪ জুন ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে পয়লা জুন শেষ হয় সাত দফায় ভোট গ্রহণ। সে দিনই ভোটের বুথ ফেরত জরিপ প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংস্থা। তাতে আভাস দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। তবে প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে জোট সরকার গঠনের পথে হাঁটতে হচ্ছে দলটিকে।
‘লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি চার শতাধিক আসন পাবে’ এমন আশার কথা শুনিয়ে আসছিলেন মোদীও। গত ২৩ মে তিনি বলেছিলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী ৪ জুন বিজেপি রেকর্ডসংখ্যক আসন পাবে। আর শেয়ার বাজারের সূচকও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছবে।
এর আগে, হত ১৩ মে অমিত শাহ এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমার মতে, ৪ জুনের আগে (শেয়ার) কিনুন। শেয়ারবাজারের সূচক (এর পরে) বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।
শেয়ারবাজারের এ কেলেঙ্কারিতে ভারতের বিনিয়োগকারীরা ৩০ লাখ কোটি রুপি হারিয়েছেন দাবি করেন রাহুল। তিনি বলেন, বিজেপি, ভুয়া বুথফেরত জরিপকারী ও সন্দেহজনক বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যকার সম্পর্কটা কী? এসব বিদেশি বিনিয়োগকারী বুথফেরত জরিপ ঘোষণার এক দিন আগে বিনিয়োগ করেছিল এবং পাঁচ কোটি পরিবারের ক্ষতি করে বিপুল মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছে। জেপিসিকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।