ভারতের আর্থিক দুর্নীতি-সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সোমবার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এসময় বেহিসাবি ৪০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) অধীনে অভিযানগুলো পরিচালিত ককরা হচ্ছে। সাম্প্রতিক অভিযানগুলো মূলত ঝাড়খণ্ড গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বীরেন্দ্র রাম ও তার বলয়ে জড়িত প্রায় অর্ধ ডজন স্থান লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
বীরেন্দ্র রামকে অর্থ পাচারের মামলায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইডি গ্রেপ্তার করেছিল।
অভিযানের ভিডিও ফুটেজে ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের গৃহ সহকারীর বাড়ির একটি কক্ষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা টাকার পাহাড় দেখা গেছে। ৭০ বছর বয়সী আলমগীর আলম একজন কংগ্রেস নেতা। তিনি ঝাড়খণ্ড বিধানসভার পাকুর আসনের প্রতিনিধিত্ব করেন।
ঝাড়খণ্ড বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল শাহদেব বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডে দুর্নীতি শেষ হচ্ছে না। নির্বাচনের মধ্যেই এতগুলো টাকা পাওয়া মানে বুঝায় এগুলো নির্বাচনে ব্যয় করার পরিকল্পনা ছিল। নির্বাচন কমিশনের উচিত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।’
তদন্ত সংস্থা রাঁচির সেল সিটিসহ নয়টি স্থানে একযোগে অভিযান চালাচ্ছে। সোমবার সকালে ইডির একটি প্রতিনিধি দল রাস্তা নির্মাণ দপ্তরের প্রকৌশলী বিকাশ কুমারকে খুঁজে বের করতে সেল সিটিতে তল্লাশি চালাচ্ছিল। ইডির আরেকটি দল বারিয়াতু, মোরহাবাদি ও বোদিয়া এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।