ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী মুম্বাইয়ে ভয়াবহ ধূলিঝড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬০ জন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েছিলেন অনেকেই। ৬৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎই আকাশ কালো করে প্রচণ্ড বেগে ঝড় ওঠে মুম্বাইয়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় ধূলিঝড়। সেই ঝড়ের ধাক্কায় ঘাটকোপড় এলাকায় উপড়ে যায় একটি বিশাল আকারের লোহার তৈরি ওই বিজ্ঞাপন বোর্ড। সেটি ভেঙে পড়ে পাশের একটি পেট্রোল পাম্পের উপর। এতে বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েন অনেকেই।
ঘটনাস্থলের যেসব ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে— সেগুলোতে দেখা গেছে- বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ছে একটি পেট্রোল পাম্পের উপর, যার আঘাতে দুমড়ে গিয়ে নীচে নেমে আসে পেট্রোলপাম্পের ছাদ। চাপা পড়ে পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাড়িও।
বিলবোর্ডের ধাতব কাঠামো বহু গাড়ির ছাদ ফুঁড়ে ঢুকে যায়। আয়তনের হিসাব করে পুলিশ তখনই জানিয়েছিল, বিলবোর্ডের নীচে অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারে।
এনডিআরএফের কর্মীদের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় অনেকাংশে সরানো সম্ভব হয় ধ্বংসস্তূপ। রিপোর্ট লেখা পর্য্ন্ত ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৬৭ জনকে। তারা সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন। অনেককেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে।
আকস্মিক এ দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, মহরাষ্ট্রের রাজ্য সরকার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার বিকালে এই ঝড় ওঠার কিছুক্ষণ আগেই মহারাষ্ট্রের আবহাওয়া দফতর সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল।
ঝড়ে মুম্বই শহরের বহু গাছ, বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে যায়। থমকে যায় রেল এবং মেট্রো পরিষেবাও।