ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর করোনাভাইরাসের টিকার ১০ কোটি ডোজ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সেরাম ইনস্টিটিউট গত বছরের ডিসেম্বরেই টিকা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, চাহিদার স্বল্পতার কারণে এটি করা হয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ভারতীয়দের দেওয়া করোনা টিকার মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি কোভিশিল্ড।
দেশটি দুই বিলিয়ন ডোজ করোনা টিকা দেওয়ার তথ্য দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ভারতের অন্তত ৭০ শতাংশ নাগরিক কমপক্ষে দুটি করে টিকা নিয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারত বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির লোকদের দেওয়া হয়। এছাড়া যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি, তাদেরও বুস্টার ডোজের আওতায় নিয়ে আসা হয়।
এরপর গত জুলাই মাসে বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয় সকল প্রাপ্তবয়স্কদের। ভারত সরকার এটিকে দেশটির স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ৭৫ দিনের কার্যক্রম হিসেবে প্রচার করে।
কিন্তু বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রতি মানুষের অনীহার কারণে কোটি কোটি টিকা রয়ে গেছে গুদামে। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে এই টিকা এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে আদর পুনাওয়ালা বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে আমরা কোভিশিল্ডের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছি। বুস্টার টিকার কোনো চাহিদা নেই। মানুষ এখন করোনার ব্যাপারে বিরক্ত। সত্যি বলতে, আমি নিজেও বিরক্ত। ১০ কোটি কোভিশিল্ড টিকা এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম দুই ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যে আগ্রহ ছিল, তা বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।