শ্যাম শরণ নেগি, যিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার হিসেবে পরিচিত, ১০৫ বছর বয়সে মারা গেলেন। শনিবার (৫ নভেম্বর) হিমাচল প্রদেশের কিন্নৌরের বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের ভোটার ছিলেন তিনি।
এরপর থেকেই প্রত্যেক নির্বাচনেই ভোট দিয়ে আসছিলেন তিনি। শনিবার মৃত্যুর তিন দিন আগেও হিমাচলের বিধানসভা নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে জীবনের শেষ ভোট দেন শ্যাম শরণ।
অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক প্রথম ভোটার বলে ধারণা করা হয়। তার রাজ্যটিতে ভারি তুষারের কারণে ১৯৫২ সালের নির্বাচনের জন্য ৬ মাস আগে ১৯৫১ সালেই ভোটকেন্দ্র চালু করা হয়েছিল। সেই ভোটে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নিরুঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছিল। ১৮৪৮ থেকে ১৯৪৭ সালের মধ্যে প্রায় একশ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরে ভারতের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে জওহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু শ্যাম শরণ নেগি পোস্টাল ব্যালটে ১০ দিন আগেই গত বুধবার ভোট দিয়েছেন। ভোটদানের সময় নির্বাচনী কর্মকর্তারা লাল কার্পেট বিছিয়ে তাকে স্বাগত জানান।
বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি এবার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেননি। ফলে বাড়িতেই তার ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ২০১৪ সালে নেগি নির্বাচন কমিশনের শুভেচ্ছাদূত হন এবং সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিতে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন।
বুধবার ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানায় যে, নেগি এক বিবৃতিতে তরুণদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে তরুণদের এগিয়ে আসা উচিত।
শনিবার এক নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেগির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাহ করা হবে কাল্পা গ্রামে।