ভারতের পার্লামেন্টের লোকসভায় ‘হুলস্থুল’ কাণ্ড ঘটেছে বুধবার দুপুরে। স্থানীয় সময় দুপুর ১ টার দিকে অধিবেশন চলাকালে বড় ধরনের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে দুই ব্যক্তি। তারা আচমকাই সংসদে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে দিতে ‘রঙ বোমা’ ছুড়তে থাকে। এতে সংসদ সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
হাউজেরর সিসিটিভি ফুটেজে গাঢ় নীল রঙের শার্ট পরা একজনকে দেখা গেছে। আটক এড়াতে তিনি ডেস্কের ওপর দিয়েই লাফিয়ে পালাতে চেষ্টা করেছিলেন। দ্বিতীয়জনকে দর্শকদের গ্যালারিতে ধোঁয়া উড়াতে দেখা গেছে। দুজনকেই পরবর্তীতে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ঘটনার পর ভারতীয় সময় দুপুর ২টায় লোকসভা পুনরায় শুরু হয়। শুরুর আগে স্পিকার ওম বিড়লা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি ও দিল্লি পুলিশকে সহায়তা করতে বলেছি। দুজনকেই আটক হয়েছে ও তাদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রও জব্দ করা হয়েছে। সংসদের বাইরে থাকা দুই ব্যক্তিকে (সাগর শর্মা ও ডি মনোরঞ্জন নামে শনাক্ত করা হয়েছে) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এর আগে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর ফুটেজে দেখা গেছে, বিশৃঙ্খলার কয়েক সেকেন্ড আগে হঠাৎ করে ওকে ধর, ওকে ধর চিৎকার শোনা যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস এমপি রাহুল গান্ধী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এবং অনুপ্রিয়া প্যাটেল।
দুই অনুপ্রবেশকারীর কাছ থেকে দর্শনার্থী পাস উদ্ধার করা হয়েছে। পাসগুলো কর্ণাটকের মাইসুরুর বিজেপি এমপি প্রতাপ সিমহার অফিস থেকে ইস্যু করা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো দর্শনার্থীকে পার্লামেন্টে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়।
কংগ্রেস এমপি কার্তি চিদাম্বরম এনডিটিভিকে বলেন, তিনি প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলেন দর্শক গ্যালারি থেকে কেউ পড়ে গেছে। দ্বিতীয় ব্যক্তি লাফ দেওয়ার পরেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি একটি নিরাপত্তা লঙ্ঘন ছিল… বিষাক্ত গ্যাস হতে পারে। একজন লোক স্পিকারের চেয়ারের দিকে ছুটে যাচ্ছিল। এটি একটি গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘন বিশেষ করে ১৩ ডিসেম্বর, যেদিন ২০০১ সালে সংসদে হামলা হয়েছিল।’
তৃণমূল কংগ্রেস এমপি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এটিকে ‘ভয়াবহ অভিজ্ঞতা’ বলেছেন। কেউ তাদের উদ্দেশ অনুমান করতে পারেনি… কেন তারা এটা করছে? আমরা সঙ্গে সঙ্গে চলে গিয়েছিলাম কিন্তু এটা ছিল নিরাপত্তার ত্রুটি!’