ভারতের দিল্লির রাস্তায় মা-মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় যখন ঘটনাটি ঘটছে তখন আশপাশের কেউ এগিয়ে আসেননি। পুরো ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। এরপরই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিও।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সেই ভিডিওর ভিত্তিতে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লির পুলিশ। সন্দেহভাজন দু’জনের নাম সোনু ও অমিত। দু’জনেই স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ তদন্ত করে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় সেই বাসিন্দাকেও, যে ওই ভিডিওটি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল।
আনন্দবাজারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর রবিবার দিনভর পুলিশ প্রাথমিকভাবে নির্যাতিত দুই নারীর খোঁজ চালায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্থানীয় বাস স্টপ, মেট্রো স্টেশন ও বিভিন্ন ঝুপড়িতে সন্ধান চালানো হয়। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই দুই নির্যাতিতার সন্ধান পাওয়া যায়।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মা-মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের রাতে। নির্যাতিতা মায়ের বয়স ৩৫ বছর। আর মেয়ের বয়স ১৮ বছর। মেয়েটি প্রতিবন্ধী। লকডাউনের সময় স্ত্রী, সন্তানকে ছেড়ে নিজের গ্রামে ফিরে গেছেন ওই নারীর স্বামী। তারপর থেকে তারা রাস্তায়ই থাকেন।
ঘটনার দিন রাতে দুই সন্দেহভাজন প্রথমে নির্যাতিতা দু’জনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে। সেই সময়ে সন্তানকে আগলাতে মা এগিয়ে এসে প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করলে খুনের হুমকি দেয়। চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীদের ঘুম ভেঙে গেলেও ঘটনার সময় কেউ এগিয়ে আসেননি। উল্টে প্রতিবেশী একজন পুরো ঘটনার ভিডিও করে। তারপর সেটা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, কিভাবে হাতে ইট তুলে মারার ভঙ্গি করছে ওই দুই ব্যক্তি। আর ওই নারী হাতজোড় করে ছেড়ে দিতে বলছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এরই মধ্যে ওই নারী ও তাঁর মেয়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।