দেড় বছর আগে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুল গান্ধী ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। এই সংক্রান্ত একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে তলব করেছে লখনউয়ের একটি আদালত।
মার্চের শেষ সপ্তাহে লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে রাহুলকে হাজির হতে হবে বলে জানানো হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশন’ (বিআরও)-এর সাবেক প্রধান উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তবের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছিল, ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারত জোড়ো যাত্রার সময় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ৫২ বছরের রাহুল সেই শ্রীপেরুম্বুদুরে রাজীবের স্মৃতিস্থলে বাবার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেন। আগামী পাঁচ মাস ধরে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার এই যাত্রাই যেন কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনের বিশল্যকরণী হয়ে ওঠে, রাহুলের অনুগামীরা তেমনটাই প্রার্থনা করেন।
নরেন্দ্র মোদীকে টেক্কা দেওয়ার মতো জায়গায় পৌঁছাতে রাহুল গান্ধীর এটাই শেষ ‘লঞ্চ প্যাড’ ছিল। এই ভারত জোড়ো যাত্রায় কংগ্রেসের পালে হাওয়া না উঠলে ২০২৪-এর আগে অন্তত রাহুল আর সুযোগ পাবেন না।
অবশ্য এই ভারত জোড়ো যাত্রাই কংগ্রেসকে যে উজ্জীবিত করেছে তা বোঝা গেছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। এই নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লাড়াই করে দলটি। যার কৃতৃত্ব রাহুল গান্ধীকেই দেওয়া হচ্ছে মূলত।