আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ট্রাভিস মাইকেল হেডকে ভার্চুয়ালি ‘বিয়ে’ করেছেন কলতকাতার মডেল হেমশ্রী ভদ্র। এতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই মডেল ।
ভারতীয় ক্রিকেট দল গ্ৰুপ পর্বে সব ম্যাচ জিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার ছিল। কিন্তু ফাইনালে ট্রাভিস মাইকেল হেডের দুর্দান্ত পারফরমেন্সের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেট দল।
এই বিখ্যাত ক্রিকেটার অনেক ভারতীয়দের হৃদয় ভঙ করলেও জিতে নিয়েছে কলকাতার মডেল হেমশ্রী ভদ্রের মন।
ট্রাভিস মাইকেল হেডের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মডেল হেমশ্রীর এতটাই ভালো লেগেছে যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ফলোয়ারদের সামনেই সিঁদুর পড়ে ভার্চুয়ালি বিয়ে করেন তিনি। যা নিয়ে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দেশদ্রোহী বলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হেমশ্রী ভদ্র।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এই বিষয়ে হেমশ্রী ভদ্র জানান, বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরমেন্সে ট্রাভিস আমার হৃদয় জয় করে নিয়েছিল। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরেই টেলিভিশনের সামনে থেকে উঠে গিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাভিসকে ভার্চুয়ালি বিয়ে করে ফেলি। সেই বিয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই তাকে একের পর এক নেটিজেনদের কুরুচিকর মন্তব্য সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
হেমশ্রী ভদ্র বলেন, সত্যিই কি বিশ্বকাপ এক লড়াই? আমরা ছোটবেলায় পড়েছি দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়ানোর জন্যই এই ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। তবে আজকের মানুষ কেন এত প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠেছে? একটি খেলায় হেরে যাওয়া নিয়ে এত আক্ষেপ এবং একটি সাধারণ ঘটনাকে নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করা! যদি অস্ট্রেলিয়ার একজন ক্রিকেটারকে সমর্থন করলেই দেশদ্রোহী হয়ে যেতে হয় তবে তো খুব অদ্ভুত সময়ে আমি বাস করছি বলতে হবে। লাখ লাখ লোক আমাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ভিডিওটি সরিয়ে নিতে বলল আমি ভিডিওটি সরাবো না। বরং হয়তো আমি আরও এরকম ভিডিও বানাবো।
হেমশ্রী আরও বলেন, ট্রাভিসের ফলোয়ার্স ২ দশমিক ২ লাখ। আমার ৭ দশমিক ২ লাখ। আমি ট্রাভিসকে ট্যাগ করেই ভিডিও আপলোড করেছি, ওনার খারাপ লাগলে ট্যাগ সরিয়ে দিতেন। অথবা আমায় সরাসরি মেসেজ করতেন। কিন্তু তা করেননি যত সমস্যা দর্শকের।