রীতিমতো ব্যান্ডপার্টির আয়োজন করে তালাকপ্রাপ্ত মেয়েকে গ্রহণ করলেন বাবা।ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলায় যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনদের নির্যাতনের শিকার মেয়ের তালাক হয়। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ধুমধাম করে মেয়েকে ঘরে ফিরিয়ে এনেছেন সেই বাবা।
অনিল কুমার বলেন, বিয়ের সময় আমার মেয়েকে যেভাবে ধুমধাম করে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়েছিলাম, এখন আবার সেভাবেই তাকে বরণ করে নিতে চাই। এজন্যই এ আয়োজন। আমরা চাই, উরভি আবার নতুন করে তার জীবন শুরু করুক।
তিনি বলেন, আরও একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। এই ব্যান্ডপার্টির অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি সমাজকে বার্তা দিতে চাই যে লোকজন যেন তাদের মেয়েদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, দাম্পত্য জীবনে অসুখী বা তালাকপ্রাপ্ত মেয়েকে যেন বোঝা মনে না করে।
উরভি জানিয়েছেন, টানা আট বছর যৌতুকের দাবিতে তাকে নির্যাতন করেছেন তার স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম; কিন্তু টানা আট বছর ধরে স্বামী-শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনদের নির্যাতন, প্রহার, অপমান, খোঁটা সহ্য করেছি; কিন্তু সবকিছুরই সীমা আছে। তারা সেই সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিল।
উরভির মা কুসুমলতা বলেন, আমি আমার মেয়ে-নাতনির জন্য পথ চেয়ে বসে আছি। তারা আমাদের সঙ্গেই থাকবে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির একটি পারিবারিক আদালত উরভির তালাক আবেদন মঞ্জুর করেন। তারপর এতদিন মেয়েকে নিয়ে দিল্লিতেই ছিলেন তিনি। সোমবার কানপুরে বাবার বাড়িতে আসেন।
অনিল কুমারের প্রতিবেশী ইন্দ্রভান সিং বলেন, আমরা উরভির তালাকের খবর আগেই পেয়েছিলাম; গতকাল বাড়ির সামনে ব্যান্ডপার্টি দেখে ভেবেছিলাম যে সম্ভবত দ্বিতীয়বার উরভির বিয়ে হতে যাচ্ছে। যখন আমরা জানলাম যে অনিল মেয়ে স্বাগত জানানোর জন্য এ আয়োজন করেছে, রীতিমতো চমৎকৃত হয়েছি। এটা ছিল অসাধারণ অনুভূতি।
দ্বিতীয়বার বিয়ে করবেন কিনা— প্রশ্নের উত্তরে উরভি বলেন, অতীতের তিক্ততা ভুলতে, নিজেকে গুছিয়ে নিতে এখন আমার কিছু সময় প্রয়োজন। তারপর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।