নির্বাচনে জয়ী হবার পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সকল প্রেসিডেন্টই জো বাইডেনকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শুধুমাত্র একজন করেননি। তবে বাইডেন মঙ্গলবার রাতে সিএনএন’র টাউন হল মিটিংয়ে সেই প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করেননি। উপস্থাপক ও পরিচালক এন্ডারসন কুপার জানতে চেয়েছিলেন যে, বাইডেনও কী সাবেক প্রেসিডেন্টদের ফোন করেছিলেন কিনা? জবাবে বাইডেন বললেন, জী, করেছি। তবে তিনি কারো নামোল্লেখ না করে শুধু বলেন, বিশেষ কোন আলাপ করিনি। একেবারেই ব্যক্তিগত আলাপ।
বাইডেন যোগ করলেন, ‘তারা সকলেই ফোন ধরেছিলেন। ব্যতিক্রম শুধু একজন। অন্যরাও আমাকে ফিরতি কল করেছিলেন ঐ একজন বাদে। এ সময় নিরবতা পালন করতে থাকায় উপস্থিত সুধীজনের মাঝে হাসির জোয়ার বয়ে যায়। কেননা সকলেই অনুধাবনে সক্ষম হয়েছেন যে, ফোন না ধরা এবং নিজে থেকে অভিনন্দন জ্ঞাপনের জন্য ফোন না করা ব্যক্তিটি আর কেউ নন, তিনি ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম। সোয়া ঘণ্টাব্যাপী এই টাউন হল মিটিং হয় উইসকনসিন স্টেটের মিলওয়াকিতে। ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই ছিল বাইডেনের হোয়াইট হাউজের বাইরে কোন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া। করোনার কারণে সবকিছুই তিনি ভার্চুয়ালে করছেন।
এ সময় তিনি করোনা পরিস্থিতির আলোকে বলেন, জুলাইয়ের মধ্যেই সকল আমেরিকানকে টিকা প্রদান করা সম্ভব হলে সামনের ডিসেম্বরের মধ্যেই আমেরিকানরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সক্ষম হবেন। তবে তিনি উল্লেখ করেন যে, সবটাই নির্ভর করছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর। সকলকে মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঘনঘন হাত ধুতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে বাইডেন বললেন, কেজি থেকে অস্টম গ্রেড পর্যন্ত খোলার চেষ্টা চলছে। এজন্যে শিক্ষক, কর্মচারিদের টিকা প্রদান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্যসম্মত করা হচ্ছে। এরপর নবম থেকে দ্বাদশ গ্রেড পর্যন্ত ক্লাস চালুতে কিছুটা সময় লাগবে বলে উল্লেখ করেন বাইডেন।
মাধ্যমিক এবং হাই স্কুলগুলোর ক্লাস ছোট আকারে করা হবে। ফলে সপ্তাহে ৫ দিন হয়তো ক্লাস পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। কারণ, এই বয়েসীরা অবাধ মেলামেশার সুযোগ পেলেই সংক্রমণের হার চরমে উঠবে। সেদিকে খেয়াল রেখেই পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে নিরাপদে ক্লাস চালুর ব্যাপারে।
টিকা প্রদানে বর্ণ-বৈষম্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে বাইডেন বলেছেন, সেটি দূর করতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রসমূহেও টিকাদান কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে।