পাকিস্তানের করাচিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি বাসবভনের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দাউদ নামের এক নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, করাচির গুলিস্তান-ই-জওহরের একটি বহুতল আবাসনে পরিচারিকার কাজ করতেন মারধরের শিকার সানা নামের ওই নারী।
তিনি চার-পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত ৫ আগস্ট রাতে সানার ছেলে সোহেল তার মাকে খাবার দিতে এসেছিলেন ওই আবাসনে। সেই সময় আবাসনে ঢোকার চেষ্টা করতেই সোহেলকে আটকায় কয়েকজন।
এদিকে, ছেলের আসতে দেরি দেখে নিচে নেমে আসেন সানাও। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে তার। বাদানুবাদ চলাকালীন সানাকে চড় মারে এক নিরাপত্তারক্ষী। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সানা। ওঠার চেষ্টা করতেই বুট দিয়ে তার পেটে আঘাত করা হয়। যন্ত্রণায় জ্ঞান হারান ওই নারী।
স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই নারী বলেন, ‘আমি পাঁচ থেকে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা…। বুটের আঘাতে আমি প্রচণ্ড ব্যথা পাই। ওই সময় সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যাই। ’ প্রদেশটির পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আব্দুল রহিম শেরাজী বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে এটি সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহর নজরে আসলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।