ঘটনাটি ভারতের ছত্তিসগড়ের। সেখানে এক কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জোর করে বিয়ে দিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে এক নারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ১৬ বছরের ওই কিশোরী আর্থিকভাবে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এক বন্ধুর সঙ্গে অন্য শহরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। পরে বন্ধুর সঙ্গে বিলাসপুরে এক নারীর বাড়িতে যায় কিশোরী। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে দেখা করেন মথুরার দুই যুবক। তাদের ভাইয়ের জন্য পাত্রীর সন্ধানে ছিলেন যুবকরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কিশোরীকে ভ্রাতৃবধূ হিসাবে পছন্দ হয় যুবকদের। কিছু কাজ দেয়া হবে বলে কিশোরীকে প্রতিশ্রুতি দেন তারা। কিন্তু এ ব্যাপারে নিজের মতামত জানাতে পারেনি কিশোরী। তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বিলাসপুরে গোপনে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়।
জাঞ্জগীর চম্পার পুলিশ সুপার বিজয় অগ্রবাল জানিয়েছেন, কিশোরীকে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হতো। তারপর তাকে উত্তরপ্রদেশের মথুরায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যুবকদের পরিবারে আবারও বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। তারপর স্বামী ও ভাসুর তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছে ওই কিশোরী।
শ্বশুরবাড়ির খপ্পর থেকে একদিন কোনোভাবে বেরিয়ে আসে ওই কিশোরী। পরে ‘চাইল্ড লাইনে’ যোগাযোগ করে সে। তারপরই তাকে উদ্ধার করে মথুরা থেকে ছত্তিসগড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কিশোরীর স্বামী-সহ তিন যুবক এবং এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।