চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের বিতর্কিত ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে ক্রমশই ক্ষোভ বাড়ছে ভারতে। ইতোমধ্যেই আট রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিহারে শুরু হওয়া বিক্ষোভ। পুলিশের গুলিতে মারাও গেছেন এক যুবক।
ভারত সরকার কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) এবং আসাম রাইফেলসে ‘অগ্নিবীরদের’ জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বিহারে আজ সকালে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের বিতর্কিত ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে ডাকা একটি বনধ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বিক্ষোভকারীরা। এর আগে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের সময় গতকাল পর্যন্ত মোট ১২টি ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং আসাম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া বাড়ছে নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমাও।
আজ শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হলো। প্রথমে ২১ বছর, পরে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২৩, এবার আরো বাড়ল নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা।
তবে এটা শুধু প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের জন্য। তা ছাড়াও, অগ্নিবীররা অবসরের পর কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং আসাম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন- সিআরপিএফে ‘অগ্নিবীর’দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তার পর দিনই সামনে এল এই ঘোষণা। ফলে চার দিন ধরে চলা বিক্ষোভের প্রশমন হবে বলে আশা করছে ওয়কিবহাল মহল।