যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ করতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি মার্কিন আদালত এটা নিয়ে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
এবার মেলানিয়া ট্রাম্প নিয়ে কথা বলেছেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস। তিনি বলেছেন, মেলানিয়া ট্রাম্পের উচিত তার অভিযুক্ত স্বামীকে ছেড়ে চলে যাওয়া। ডেইলি মিররকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড্যানিয়েলস এসব কথা বলেন।
উপস্থাপক ড্যানিয়েলসকে প্রশ্ন করেন মেলানিয়ার ট্রাম্পকে ছেড়ে যাওয়া উচিত কিনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ।’
স্টর্মি ড্যানিয়েলস এ সময় বলেন, আমি জানি না, তাদের মধ্যে কোনো চুক্তি আছে কিনা। তবে মেলানিয়ার উচিত ট্রাম্পকে ছেড়ে যাওয়া।
উপস্থাপক তখন কী কারণে ছেড়ে যাওয়া উচিত প্রশ্ন করলে স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেন, এই কারণে নয় যে ট্রাম্প আমার কিংবা অন্য কোনো নারীর সঙ্গে কী করেছে, বরং তিনি (ট্রাম্প) একজন অভিযুক্ত অপরাধী বলে।
এর সুস্পষ্ট কারণ তালিকাভুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে স্টর্মি বলেন, তিনি নিপীড়ক এবং যৌন নিপীড়ন ও কর জালিয়াতিতে অভিযুক্ত।
মেলানিয়া কিংবা ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ কন্যা ইভানকাকে কেন আদালত কক্ষে দেখা যায়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে স্টর্মি বলেন, হয়তো মেলানিয়া তার সন্তানকে এই ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি করতে চাননি। যেহেতু মেলানিয়া ও ইভানকা উভয়েরই শিশুসন্তান রয়েছে; সে কারণেই তারা এমনটা করতে পারেন।
এদিকে রবিবার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস সানডে’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, মামলার বিচার তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের জন্য ‘কঠিন’ বিষয় ছিল।
ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেন, মেলানিয়া ভালো আছেন। কিন্তু এটা (ফৌজদারি বিচার) তার জন্য খুবই কঠিন একটি বিষয় ছিল। তাকে এই (বিচারসংশ্লিষ্ট) সব বাজে জিনিস পড়তে হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ওই মামলার ৩৪টি অভিযোগের সব কটিতে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেন নিউইয়র্কের একটি আদালত। মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছিল, পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক হয়েছিল। সে বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মিকে অর্থ দেওয়া হয়। কিন্তু তা ট্রাম্পের ব্যবসায়িক নথিতে উল্লেখ করা হয়নি।