সাদা রঙের এসইউভি বাড়ির সামনে থামতেই, দরজা খুলে নেমে এসেছিলেন উমেশ পাল। আর ঠিক তখনই পিছন থেকে আচমকাই তাকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালালেন এক ব্যক্তি।
গুলি লাগার পর পালিয়ে পাশের গলিতে ঢুকে পড়েছিলেন উমেশ। পিছু ধাওয়া করতেই উমেশের এক দেহরক্ষী হামলাকারীকে ধরার চেষ্টা করেন।খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
তাকেও গুলি করা হয়। দ্বিতীয় দেহরক্ষীকেও গুলি করেন হামলাকারী। তারা রাস্তায় লুটিয়ে পড়তেই উমেশের পিছু ধাওয়া করে গুলি করেন আততায়ী।
তার পর তার সঙ্গে থাকা বাকি দুর্বৃত্তরা পর পর কয়েকটি বোমা ছুড়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালান। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে।
২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পাল খুন হয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল সাবেক এমপি আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে।
সেই মামলার সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল। তার প্রাণহানি হওয়ার আশঙ্কায় প্রশাসন থেকে দু’জন পুলিশকর্মীকে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার একটি সাদা রঙের এসইউভিতে বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ান উমেশ। রাস্তার ভিড়ের মধ্যে মিশে ছিল হামলাকারীরা।
উমেশ গাড়ি থেকে নামতেই এক সন্ত্রাসী পিছন থেকে এসে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দৌড়ে একটি গলির মধ্যে ঢুকে যান উমেশ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনা যখন ঘটছিল, নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পথচারীরা এ দিক ও দিক ছোটাছুটি শুরু করে দেন।
সন্ত্রাসীরা এলাকা ছাড়লে স্থানীয়রা উমেশ এবং তার দুই দেহরক্ষীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা উমেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুই দেহরক্ষীর মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে।
প্রয়াগরাজের পুলিশ প্রধান রমিত শর্মা জানিয়েছেন, একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। কারা এই হামলা চালাল, তা খতিয়ে দেখার জন্য আটটি দল গঠন করা হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।