পরিচারিকার ওপর অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর চরম সমালোচনা শুরু হয় বিজেপি নেত্রীর ব্যাপারে। গরম তাওয়া দিয়ে পরিচারিকাকে মারধর, মেঝেতে পড়ে থাকা মূত্র চাটানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ভারতের ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেরে পদক্ষেপ নিয়েছে মহিলা কমিশন। দল থেকে সীমাকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য সীমার স্বামী মহেশ্বর এক জন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা। সীমা নিজে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘বেটি বচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানের এক জন আহ্বায়ক।
মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে ঝাড়খণ্ড পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজন হলে সীমাকে গ্রেপ্তার করার আবেদন জানানো হয়েছে।
‘দলিত ভয়েস’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেখানে এক জন অসুস্থ আদিবাসী নারীকে দেখা যাচ্ছে। তিনি কিছু বলার চেষ্টা করছেন।
তার দাঁত ভাঙা এবং শরীরে একাধিক ক্ষতও দেখতে পাওয়া যায়। দলিত ভয়েসের দাবি, সীমার বাড়িতে ওই আদিবাসী নারী আট বছর ধরে নির্যাতনের শিকার। তাকে গরম তাওয়া এবং লোহার রড দিয়ে মারধর করার অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে, জোর করে মেঝেতে পড়ে থাকা প্রস্রাবও তাকে দিয়ে চাটিয়েছেন সীমা। সীমার বাড়ির গৃহ পরিচারিকাও ঝাড়খণ্ডেরই বাসিন্দা।