ভারতের কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জাতীয় কমিটি থেকে বাদ পড়লেন গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য বরুণ গান্ধী এবং তার মা মানেকা গান্ধী।
বৃহস্পতিবার বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি ঘোষণা করেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।
এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া তিন নেতা। সাবেক এমপি তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর পাশাপাশি বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের রাজ্যসভার সাবেক এমপি দীনেশ ত্রিবেদী জায়গা পেয়েছেন ওই কমিটিতে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কর্মসমিতিতে রাখা হয়েছে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে। বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী এটি দলের অন্যতম প্রধান কমিটি। এর ওপরে রয়েছে শুধু ১২ সদস্যের সংসদীয় বোর্ড। দলের যাবতীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় এই বোর্ড।
বিজেপির জাতীয় কার্যসমিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর জোশি, বিজেপির সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নিতীন গড়কড়ি, সাবেক রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল রয়েছেন। জায়গা পেয়েছেন অভিনেত্রী এমপি হেমা মালিনীও।
তবে বাদ পড়েন গান্ধী পরিবারের সদস্য সঞ্জয় গান্ধীর স্ত্রী মেনকা গান্ধী ও তার ছেলে বরুণ গান্ধী।
ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লখিমপুর সহিংসতার পর কৃষক হত্যার নিন্দা করেছিলেন বরুণ গান্ধী। মহাত্মা গান্ধীর জন্ম দিবসে নাথুরাম গডসের প্রশংসার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন। তারই জেরে বরুণকে দলের ভেতরে আরও কোণঠাসা করে দেওয়া হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
অটলবিহারি বাজপেয়ি মন্ত্রিসভার সদস্য মেনকা গত দুই দশক ধরে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। নরেন্দ্র মোদির প্রথম মন্ত্রিসভায়ও স্থান পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর আসন থেকে জিতলেও তাকে আর মন্ত্রী করা হয়নি। বিজেপির সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল মেনকার।