ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বাঙালি হিন্দুদের ক্ষতি না করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করার অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে দয়া করে বাঙালি হিন্দুদের ক্ষতি করবেন না।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত সপ্তাহে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত ও ‘বৈষম্যমূলক’ বলে নিন্দিত আইনটি কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে। এরপর সেদিনই দেশটির বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ হয়েছে। এই আইন ‘মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক’ বলে সমালোচনা রয়েছে।২০১৪ সালের ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া অনিবন্ধিত অমুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো নথিও চাওয়া হবে না। ২০১৯ সালে লোকসভায় আইনটি পাস হয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গে এ আইন কার্যকর না করার কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দাবি, এমন আইন প্রতিবেশী দেশগুলোর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভুল বার্তা দেবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সমলোচনা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। যেদিন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে তখন সব অনুপ্রবেশ বন্ধ করে ফেলবে।
বিজেপি নেতা বলেন, বিরোধী দল চাচ্ছে যে এই আইন কার্যকর না হোক। কংগ্রেস জানিয়েছে তারা ক্ষমতায় আসলে এই আইন বাতিল করবে। কিন্তু তারা কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বিজেপি এই আইন এনেছে, তারাই এই আইন বিষয়ে সচেতনতা প্রচার করবে।
তিনি বলেন, ‘এই আইন মোটেও অসাংবিধানিক নয়। এই আইন বাতিল হবে না।’
অমিত শাহ দাবি করেন, এই আইন সংবিধানের ১৪ ধারা লঙ্ঘন করে না। স্পষ্টত পার্থক্য রয়েছে। এই আইনের ফলে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকাররা ভারতে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন।