বন্দি গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া তাকে মিয়ানমারের বাইরের কোনো একজন চিকিৎসককে দেখানোর সুযোগ দেওয়ার আবেদন করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়েছে, সু চিকে মিয়ানমারের বাইরের কোনো চিকিৎসককে দেখানোর আবেদন করা হয়। তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সামরিক জান্তা।
রয়টার্স জানিয়েছে, বাইরের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরিবর্তে কারাগারের চিকিৎসকদের দিয়েই সু চির চিকিৎসা করাচ্ছে জান্তা প্রশাসন। নোবেলজয়ী মিয়ানমারের এই নেত্রীর বর্তমান বয়স ৭৮ বছর।
সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, সু চির মাড়ি বেশ ফুলে গেছে। তিনি ভালোভাবে খেতে পারছেন না। এ ছাড়াও বমির পাশাপাশি মাথা ঘোরা ও সামান্য পরিসরে অজ্ঞান বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন মিয়ানমানের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকে বন্দি রয়েছেন সু চি। তবে নোবেল বিজয়ী এই নেত্রীকে গত জুলাই মাসের শেষের দিকে রাজধানী নেইপিদোর কারাগার থেকে মুক্ত করে তার বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
১৯টি ফৌজদারি অপরাধে ২৭ বছরের সাজার সম্মুখীন হয়েছেন সু চি। তাকে বিভিন্ন অপরাধে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি তার ৫টি অপরাধ ক্ষমা করে জান্তা সরকার। এতে তার জেলের মেয়াদ ছয় বছর কমে ২৭ বছরে দাঁড়িয়েছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগই অস্বীকার করেছেন সু চি।