নেদারল্যান্ডসের একটি আদালত ২০১৪ সালে পূর্ব ইউক্রেনের আকাশে মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটি ভূপাতিত করার ঘটনায় তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। ওই ঘটনায় ২৯৮ জন নিহত হয়েছিল।
রায়ে আদালত বলেছেন, রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী একটি রুশ নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ফ্লাইট এমএইচ১৭ কে ভূপাতিত করেছিল। ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়া থেকেই সরবরাহ করা হয়েছিল।
বিমান ধ্বংস ও এর আরোহীদের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্তরা হচ্ছেন দুই রুশ ও এক ইউক্রেনীয়। তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় দেওয়া হয়। আসামীদের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। তৃতীয় একজন রুশ নাগরিককে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের ওই ঘটনা ইউক্রেনে ওই সময়ের সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধাপরাধগুলোর মধ্যে একটি। এর পর থেকে সেখানে নৃশংসতার অভিযোগ প্রায় প্রতিদিনের বাস্তবতায় পরিণত হয়।
নিহতদের স্বজনদের অনেকে মনে করেন, বিশ্ব যদি তখনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিত তাহলে ইউক্রেনে আগ্রাসন এবং পরবর্তী অস্থিতিশীলতা এড়ানো যেত।
বিচারকরা রায়ে বলেন, বিমানটি গুলি করে নামানো ছিল ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ। তবে দোষী সাব্যস্ত তিনজনের উদ্দেশ্য ছিল একটি সামরিক বিমানকে গুলি করা, কোনো বেসামরিক বিমান তাদের লক্ষ্য ছিল না।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই বিমানটি আমস্টারডামের শিফল বিমানবন্দর থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। এতে ৮০ শিশু এবং ১৫ সদস্যের ক্রুসহ ২৯৮ জন আরোহী ছিল। বিমানটি দুর্ঘটনার সময় ইউক্রেনের আকাশে ৩৩ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ছিল। এটি ছিল ইউক্রেনের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাশিয়ার প্রচেষ্টার শুরুর দিকের ঘটনা। তখন তা ছিল অপেক্ষাকৃত ছোট মাপের সংঘাত।