ফিলিপাইনের একটি স্বর্ণখনিতে ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সেখান থেকে ৫৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৬৩ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কয়েক সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টির ফলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ দাভাও দে ওরোর মাকো শহরের কাছের পাহাড়ি গ্রাম মাসারার ওই স্বর্ণখনিতে ধস নামে।
দাভাও দে ওরোর প্রাদেশিক সরকার এক ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেছে, এ ভূমিধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগের দিনের মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৭ জন। উদ্ধারকর্মীরা আরও মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছেন। অন্তত ৩২ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও ৬৩ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজদের মধ্যে বেশিরভাগই স্বর্ণখনির শ্রমিকেরা রয়েছেন। বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে দুটি বাসে বসে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় ধসের ঘটনা ঘটে।
দাভাও দে ওরো প্রদেশ প্রশাসনের কর্মকর্তা অ্যাডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি রোববার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গত ৫ দিনে ৫৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, কাদা-জঞ্জালের স্তূপের নিচে এখনও আটকা পড়ে আছেন অন্তত ৬৩ জন। তাদের উদ্ধারে দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের ৩শ’রও বেশি কর্মী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
ওই খনিতে ফের ধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানান তিনি।
ম্যাকাপিলি বলেন, ওই এলাকায় থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। কাদায় পুরো খনি এলাকা ঢেকে গেছে এবং আরও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে উদ্ধার তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে আমাদের উদ্ধারকারী বাহিনীর কর্মীরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে, যদিও কাজটি খুব কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
রোববার সকাল থেকে ফের উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তিন বছর বয়সী একটি মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, ঘটনাটিকে উদ্ধারকারীরা ‘অলৌকিক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
দুর্যোগ মোকাবিলা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফের ভূমিধসের শঙ্কায় ওই এলাকার ১১০০ টিরও বেশি পরিবারকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।