প্লেনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় অ্যান্টার্কটিকার একটি গবেষণাকেন্দ্রে অতিরিক্ত একটি রাত কাটাতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ও তার সফরসঙ্গীদের। গত বুধবার (২৬ অক্টোবর) ৭২ ঘণ্টার সফরে অ্যান্টার্কটিকার স্কট গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছান জেসিন্ডা। সফর শেষে শুক্রবারই ফিরে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু প্লেন নষ্ট হওয়ায় অতিরিক্ত এক রাত হিমশীতল এলাকায় থাকতে বাধ্য হয়েছেন কিউই প্রধানমন্ত্রী।
তার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আরডার্ন ও তার সঙ্গীরা শনিবার (২৯ অক্টোবর) ইতালিয়ান সি-১৩ হারকিউলিস সামরিক প্লেনে দেশে ফিরবেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে আবহাওয়া খারাপ থাকায় অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছানোর প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হয় আরডার্নদের। তাদের বহনকারী প্লেনটি মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এর একদিন পরে গত যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক প্লেনে চড়ে অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছান নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও সফরসঙ্গীরা।
বুধবার অবতরণের পর রেকর্ড করা একটি ভিডিওবার্তায় আরডার্ন বলেন, অ্যান্টার্কটিকায় নিউজিল্যান্ডের উপস্থিতির গুরুত্ব রয়েছে। কেন্দ্রটির ৬৫ বছর হয়ে গেছে ও সেখানে কাজ করা বিজ্ঞানীদের ভূমিকা অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ড সরকার কেন্দ্রটির পুনর্বিকাশ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অ্যান্টার্কটিকা ও আশপাশের প্রকৃতি-প্রাণী রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে দুই সপ্তাহের বার্ষিক বৈঠকের জন্য অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে ২৭ জন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী ও কূটনীতিকের বৈঠকের পরই অ্যান্টার্কটিকা সফরে যান আরডার্ন।
কমিশন ফর কনজারভেশন অব অ্যান্টার্কটিক মেরিন লিভিং রিসোর্সেস (সিসিএএমএলআর) ২৬টি সদস্য রাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ২০১৯ সালের পর আবার এ বছর তারা সরাসরি বৈঠকে বসে৷ এ গোষ্ঠীতে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার এমনকি ইউক্রেনও রয়েছে।
পরিবেশ বিজ্ঞানী ও সংরক্ষণবাদীরা কমিশনকে অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণ মহাসাগরে মাছ ধরার ওপর আরও প্রতিরক্ষামূলক সীমাবদ্ধতা আরোপ করার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে রাশিয়া, চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ঐকমত্যে পৌঁছানো আরও কঠিন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও চিলিসহ সাতটি দেশের মধ্যে নিউজিল্যান্ড একটি, যাদের অ্যান্টার্কটিকায় আঞ্চলিক দাবি রয়েছে।