হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ওই একই ঘটনায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানও মারা গেছেন।
এক বিবৃতিতে ইরানের মন্ত্রিসভা প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সঙ্গীদের মৃত্যুতে ইরানি জাতির প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আশ্বস্ত করে বলা হয়, “প্রেসিডেন্ট রাইসির পথ অব্যাহত থাকবে এবং দেশের বিষয়গুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে সামান্যতম ব্যাঘাতও ঘটবে না।”
এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে কোনও ধরনের বিঘ্ন ঘটবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
জানা গেছে, রবিবার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইরানি প্রেসিডেন্ট। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, ইরানের রাষ্ট্রীয় পদক্রম অনুসারে, রাষ্ট্রের প্রধান সুপ্রিম লিডার আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট সরকার প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।
সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মারা গেলে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট তাৎক্ষণিক দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেবেন।