ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে রুশ সরকারের নির্দেশে হত্যা করা হয়নি। পশ্চিমাদের তোলা এই অভিযোগকে ‘ডাহা মিথ্যা’ উল্লেখ করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোজিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে ডিএনএ রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।
রুশ তদন্তকারীরা বুধবার মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে দুর্ঘটনার ঘটনাস্থল থেকে ১০টি মরদেহ এবং ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালানোর কথা জানিয়েছে রুশ সরকার।
কদিন আগেও ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্টের শক্তিশালী হাতিয়ার ছিল ওয়াগান গ্রুপ। আর এই গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ছিলেন পুতিনের অন্যতম আস্থাভাজন। তবে জুনে রুশ সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন প্রিগোজিন। সদস্যদের নিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রা করেন তিনি। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান পাল্টান তিনি। বেলারুশের প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে বিদ্রোহ থেকে সরে বেলারুশে চলে যান প্রিগোজিন।
পশ্চিমাদের দাবি, বিদ্রোহ থেকে সরে আসায় এমন পরিণতির মুখে পড়েছিলেন প্রিগোজিন। বিমান বিস্ফোরণের ঘটনাটি ওয়াগনার বিদ্রোহের প্রতিশোধ হিসেবে দেখছে তারা। বিদ্রোহটি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ২৩ বছরের শাসনের জন্য শক্ত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল।
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্পষ্টভাবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ইয়েভজেনি প্রিগোজিনসহ বিমানের যাত্রীদের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘিরে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। এই জল্পনাগুলো পশ্চিমারা তৈরি ও প্রচার করছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
ক্রেমলিন প্রিগোজিনের মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ পেয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে পেসকভ বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সব আলামত বিশ্লেষণ করা হবে। সব পরীক্ষা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’
পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বিদ্রোহের অবসান ঘটানোর চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘রুশ নেতা প্রিগোজিনের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এটা আমার বিশ্বাস হয় না।’
তিনি বলেন, ‘আমি পুতিনকে চিনি। তিনি খুব শান্ত এবং স্থির। আমি কল্পনাও করতে পারি না যে পুতিন এটা করেছেন বা এর জন্য পুতিনই দায়ী। এটা খুবই অ-পেশাদার কাজ হয়েছে।’