স্কটল্যান্ডের এক স্কুল ছাত্রী তার সুন্দর লম্বা চুলের ২৪ ইঞ্চি কেটে লিটল প্রিন্সেস ট্রাস্টে দান করেছে। যারা ক্যান্সারের চিকিৎসা কিংবা অন্য কারণে চুল হারিয়েছে, সেসব শিশুদের এবং অল্পবয়সীদের বিনামূল্যে সত্যিকারের চুলের গোছা দিয়ে থাকে দাতব্য সংস্থাটি।
গত মে মাসে ১১ বছরে পা রেখেছে সামার নোবেল। কিশোরীটি সিদ্ধান্ত নেয়, জীবনে প্রথমবার চুল কেটে দাতব্য সংস্থায় দান করবে। অন্যদের সাহায্য করার মানসিকতা থেকে সে এটি করেছে।
সে অনুসারে মাকে নিয়ে সামার চলে যায় চুল কেটে নিতে। সামারের এ কাজে পরিবারের সদস্যরা ভীষণ খুশি। পরিবারের লোকেরা বলছে, সামারকে নতুন লুকে দারুণ লাগছে। চুল ছোট হওয়াতে তার খেলাধূলায় সমস্যা হবে না। এমনকি তার মায়ের কন্ডিশনার কম খরচ হবে।
সামার জানায়, অনলাইনে দাতব্য সংস্থাটির ব্যাপারে জানতে পারি। এরপর শিশুদের জন্য নিজের চুল দান করার ব্যাপারে মনস্থির করি। তারা কেবল ১২ ইঞ্চি লম্বা চুল চেয়েছিল। তবে আমি দ্বিগুণ লম্বা চুল দিয়েছি।
সে আরো জানায়, আমি কেবল এক বন্ধুকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারপর স্কুলে যাওয়ার পর বন্ধুরা আমার চুল দেখে অবাক হয়েছে।
সামারের মা জানান, চুল দান করার ইচ্ছা সামার নিজেই নিয়েছে। এটা তার জীবনে প্রথমবার চুল কাটা ছিল। সে দারুণ কাজ করেছে। তাকে এখন দেখতে আরো চমৎকার লাগছে। তার জন্য সবাই গর্ব করছে।