দেশে দেশে টুইটার ও ফেসবুক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে টুইটার ও ফেসবুক বন্ধ করে দিতে বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানান ট্রাম্প।
তিনি আরও জানান, তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখনই ফেসবুক-টুইটার নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। কারণ, ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গ তাকে নিয়মিত ফোন করতেন। তিনি হোয়াইট হাউসে আসতেন। তার প্রশংসা করতেন।
ইতোমধ্যে টুইটার বন্ধ করে দিয়েছে নাইজেরিয়া সরকার। দেশটির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর উচিত নাইজেরিয়াকে অনুসরণ করা।
নাইজেরিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, দেশটির প্রেসিডেন্টের টুইট মুছে দেওয়ার পর তারা সে দেশে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটিকে নিষিদ্ধ করেছে। অন্য সব দেশেরও উচিত টুইটারের পাশাপাশি ফেসবুককে নিষিদ্ধ করা।
বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, এসব মাধ্যমে মুক্তভাবে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এসব মাধ্যম আপাতত বন্ধ রাখলে অন্যরা এগিয়ে আসবে। নতুন সব যোগাযোগের মাধ্যম প্রতিযোগিতা করতে এগিয়ে আসতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।
টুইটারে ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফেসবুকে তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও দুই বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে।