নির্বাচনি প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রেকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচিত হয়ে এবার সেই পথেই হাঁটছেন তিনি। অর্থ, বাণিজ্য, সামরিক, কূটনৈতিক সব জায়গায় নিজের মিত্র ও অনুগতদের বসাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মার্কিন সেনা সদরদ্প্তর পেন্টাগনের দিকে নজর দিয়ে ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের সদস্যরা। আমেরিকার সেনা কর্মকর্তাদের গণহারে বরখাস্ত করতে একটি তালিকা তৈরি করছেন তারা। এই তালিতায় যৌথ বাহিনী প্রধানদের রাখা হতে পারে। যদি এমনটা আসলেই হয় তাহলে তা হবে পেন্টাগনে নজিরবিহীন রদবদল। দুটি সূত্রের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বরখাস্তের সম্ভাব্য তালিকায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র বলছে, ট্রাম্পের বিজয়ের পর বরখাস্তের পরিকল্পনা এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের গঠন অনুযায়ী এই পরিকল্পনা পরিবর্তন হতে পারে। ট্রাম্পের ট্রানজিশন নিয়ে পরিচিত সূত্রগুলো এই তথ্য জানিয়েছে। এই পরিকল্পনা নিয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলার জন্য নাম প্রকাশ করেনি তারা।
অনেক আগ থেকেই ট্রাম্প মার্কিন সামরিক নেতাদের দিকে তোপ দাগিয়ে আসছেন। সুযোগ পেলেই তাদের সমালোচনা করেছেন। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার কথাও বলেছেন তিনি।
যদিও এই পরিকল্পানা শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প অনুমোদন দেবেন কিনা, তা এখনো নিশ্চিত না। এ প্রতিবেদনের বিষয়ে ট্রাম্পের প্রচার দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
দ্বিতীয় আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্পের সাবেক যৌথ বাহিনীর প্রধান মার্ক মিলির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন সামরিক কর্মকর্তাদের টার্গেট করতে পারে নতুন প্রশাসন। মিলি সম্প্রতি প্রকাশিত বব উডওয়ার্ডের বই ‘ওয়ার’-এ ট্রাম্পকে ‘আদতে ফ্যাসিবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বলে উদ্ধৃত হয়েছেন। এরপর ট্রাম্পের মিত্ররা তাকে নিশানা করে একের এক বাক্যবাণে জর্জরিত করেছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে ফক্স নিউজের উপস্থাপক পিট হেগসেথকে মনোনয়ন দেয়ার পরের দিনই মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সিনিয়র নেতাদের বরখাস্তের পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে এলো। পিট হেগসেথও মার্কিন সামরিক বাহিনীতে বড় ধরনের রদবদলের পক্ষে।