উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বারবার অকারণে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অভিযোগ উঠেছে। গতমাসেই একের পর এক শক্তিশালী ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল কিম জং উনের দেশ। উত্তর কোরিয়ার দাবি তাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে সার বিশ্ব আতঙ্কে কেঁপে উঠেছে।
নতুন বছরের শুরুতেই কিমের নেতৃত্বাধীন উত্তর কোরিয়া সরকার ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছিল। উত্তর কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রণালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল এই মিসাইল পরীক্ষায় যুগান্তকারী সাফল্য এসেছে। ওই মিসাইল পরীক্ষা পর উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল তাদের পরীক্ষা করা সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রের সমান শক্তিশালী এবং খুবই স্বল্প সংখ্যক দেশের কাছে এই ধরনের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
গতমাসেই হাইপারসনি মিসাইলসহ মোট ৭ টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্যে হাওসং-১২ মধ্যবর্তী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। কিম সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান বিশ্বে যেখানে অনেক দেশই আমেরিকার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে অথবা তাদের অন্ধ আনুগত্য দেখিয়ে সময় নষ্ট করছে, সেখানে উত্তর কোরিয়াই একমাত্র দেশ যারা মিসাইলের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিতে পারে।
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে হাওসং-১২ পারমাণবিক অস্ত্র পরিবহনে সক্ষম। গর্বের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, বিশ্বে ২০০টিরও বেশি দেশ রয়েছে। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছে হাইড্রোজেন বোমা, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং হাইপারসনিক মিসাইল রয়েছে।
আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক ভাল নয়। ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে আলোচনা শুরু হলেও পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যুকে কেন্দ্র করে আলোচনা ভেস্তে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথ নেওয়ার পরও হোয়াইট হাউজের তরফে বারবার কিমের সঙ্গে আলোচনার কথা বলা হলেও বারবার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি।