পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রীই পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। ইমরানও সেই ইতিহাস পাল্টাতে পারলেন না। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট দেশটির ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ইমরান। পুরো চার বছরও দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না তিনি।
মূলত দ্রব্যমূল্য দুর্নীতি ঠেকানো ও অর্থনীতিকে পথে ফেরানোর অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় আসেন ইমরান খান। কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতিই ঠিকভাবে পূরণ করে উঠতে পারেননি। ‘ফরেন পলিসি’র বিশ্লেষণ বলছে, মুদ্রাস্ফীতিই ইমরানের পতনের অন্যতম কারণ।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে সবসময় সেনাবাহিনী একটি বড় ভূমিকা রাখে। ইমরানের ক্ষমতায় আসাতেও সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থন ছিল বলেই অনেকে মনে করেন। কারও কারও মতে, দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের নতুন প্রধানের নিয়োগপত্রে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ইমরান। এতে ক্ষুব্ধ হয় সেনাবাহিনী। এর পরিণতি হিসেবেই পূর্বসূরিদের মতোই মেয়াদ পূর্তির আগেই বিদায় নিতে হলো ইমরানকে।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক তালাত মাসুদ বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হলো একটি সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের পথ উন্মুক্ত করা। সেই সরকারকে দেশের চলমান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও বাইরের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে হবে।