পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইঁদুরের বাহিনী। প্রতি রাতে তারা গর্ভগৃহে ঢুকে জিনিষপত্র তছনছ করছে। কাঠের বিগ্রহের ক্ষতি করছে। নোংরা ফেলে কলুষিত করছে পুজোর উপাদান।
করোনার কারণে পুরীর মন্দির জনসাধারণের জন্য বন্ধ ছিল দু’হাজার কুড়ি ও একুশ সালে। জনতার ভিড় থাকায় এই ইঁদুর বেরোতে ভয় পেতো। এখন দর্শণার্থীদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেয়া হলেও ইঁদুরদের মনুষ্যভীতি কেটে গেছে। তারা দলে দলে বেরিয়ে পড়ছে। গর্ভগৃহ তাদের তাণ্ডবে এতটাই অতিষ্ঠ যে নিত্য সেবায় ব্যঘাত ঘটছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আরশোলা। পুজোর সামগ্রীর ক্ষতি করছে তারা।
এই ইঁদুর বিষ দিয়ে মারার পক্ষপাতী নয় মন্দির কর্তৃপক্ষ।তারা কলকাতার এক ইঁদুর বিশেষজ্ঞর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কলকাতার বিশেষজ্ঞ সরজমিনে গিয়ে দেখবেন-না মেরে এই ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ কিভাবে সম্ভব। পেস্ট কন্ট্রোল সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। মন্দিরের এক সেবায়িত জানাচ্ছেন যে গর্ভগৃহে একটি ফাটল দিয়ে ইঁদুর ঢুকছে। ইঁদুরের সাইজ দেখে ভীত হচ্ছেন অনেকে। এক একটির আকার প্রায় বিড়ালের মতো। রোডেন্ট জাতীয় এই প্রাণীর উৎপাতে পুরীর মন্দির এখন সংন্ত্রস্ত। যেহেতু প্রভু জগন্নাথ জীব হত্যায় উৎসাহ দিতেন না। তাই এখন না মেরে এই ইঁদুর বিতাড়নের উপায় খোঁজা হচ্ছে।