পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন- ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি পাকিস্তানকে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান হতে যাচ্ছে পরবর্তী শ্রীলঙ্কা।
সোমবার (২০ জুন) এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন। এর আগে, রোববার (১৯ জুন) মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে ডাকা আন্দোলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
করাচি, পেশোওয়ার, মুলতান, ইসলামাবাদসহ বড় শহরগুলোতে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে বক্তব্য দেন ইমরান খান।
এ সময় ইমরান খান বলেন, নিজেদের ভালোর জন্য এ মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় আন্দোলন করতে হবে এবং বর্তমান ‘আমদানি করা সরকারের’ বিরুদ্ধে সংগ্রামকে আরও জোরদার করতে হবে।
ক্ষমতাচ্যুত এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছি। এ আন্দোলন আপনাদের নিজের আন্দোলন। বেতনভোগী, কৃষক ও শ্রমিকসহ দরিদ্র শ্রেণি মুদ্রাস্ফীতির কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি আপনাদের আবারও প্রতিবাদের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এ আন্দোলন অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আমরা শুধু নির্বাচন চাই না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। বর্তমান সরকার দাবি করছে যে ইমরান খান সরকার এ মূল্যবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পিটিআই পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম মাত্র কয়েক রুপি বাড়িয়েছিল, আর বর্তমান শাসকরা ১০০ টাকারও বেশি বাড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কর্মসূচির কারণে হয়েছে এমন ধারনা প্রত্যাখ্যান করে ইমরান খান বলেন, বর্তমান সরকার গত দু’সপ্তাহ ধরে আইএমএফের কর্মসূচিতে আছে। আর পিটিআই সরকার আড়াই বছর ধরে এ কর্মসূচিতে ছিল।
ইমরান খান আরও বলেন, আমরা আইএমএফ থেকেও দাম বাড়ানোর নির্দেশনা পেয়েছি, কিন্তু আমরা পরে পেট্রোলের দাম ১০ টাকা কমিয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র ছিল বলে অভিযোগ ইমরান খানের। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে ইমরান খানের দল পিটিআই।