পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবার নারী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন আয়েশা মালিক। গত বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) দেশটির জুডিশিয়াল কমিশন ৫৫ বছর বয়সী আয়েশা মালিককে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর আয়েশা মালিক প্রথম নারী বিচারক হিসেবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে নিয়োগ পাচ্ছেন।
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফের এমপি এবং আইন সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি কমিটির সম্পাদক মালিকা বোখারি এক টুইটে বলেছেন, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রথম নারী বিচারক হিসেবে একজন মেধাবী ও খ্যাতিমান বিচারক নিয়োগ পাচ্ছেন, যা আমাদের দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় মুহূর্ত।
অবশ্য পাকিস্তানে এই ঐতিহাসিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েও মতভেদ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে নারী বিচারকের নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল একটি পক্ষ। আরেক পক্ষ নারী বিচারক নিয়োগের পক্ষে ছিল। পাকিস্তানের হাইকোর্টের চতুর্থ জ্যেষ্ঠ বিচারক আয়েশা মালিককে নিয়ে এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরেই আয়েশা মালিকের সুপ্রিম কোর্টে যুক্ত হওয়ার ছিল। কিন্তু ওই সময় পাকিস্তানের বিচারিক কমিশনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণে তার নিয়োগ আটকে যায়। ওই সময় আট সদস্যের বিচারিক কমিশনের চারজন আয়েশার পক্ষে যায়। আর বাকি চার জন তার বিপক্ষে যায়।
কিন্তু বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তানের বার অ্যাসোসিয়েশন। তারা দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দেয়। অনেকেই কাজ না করার হুমকি দেয়। তবে অ্যাসোসিয়েশনের একাংশ আয়েশার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এমন অবস্থায় আয়েশার বিষয়টি নিয়ে দেশটির প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) আবার বৈঠকে বসে বিচারিক কমিশন।
সেই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের পক্ষে মত দেন পাঁচ জন। তবে চার জন তার বিপক্ষেই মত দেন। হার্ভার্ড আইন স্কুলের স্নাতক করা আয়েশা বর্তমানে লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি। এর আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ এবং নজিরবিহীন রায় দিয়েছেন তিনি।