ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক মন্দা ঘরে ধরেঠেছ পাকিস্তানকে। অবস্থা এত কঠিন পরিস্থিতিতে গেছে বিশাল আকার ধারণ করেছে বিদ্যুৎ সংকট।
এর আগে গত সোমবার (২৭ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ পাকিস্তানবাসীকে সতর্ক করে জানান, জুলাইয়ে ঘন ঘন লোডশেডিং হতে পারে। প্রয়োজনীয় পরিমাণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ না পাওয়া এমন বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে নাগরিকদের। দ্রুত এ সেবা পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছে তার জোট সরকার।
এদিকে, দেশটিতে চলমান তাপদাহে নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। ফলে বিদ্যুতের চাহিদাও ব্যাপক। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এলএনজি কিনতে অনেকটা যুদ্ধ করে যাচ্ছে পাকিস্তানের বর্তমান সরকার। জিও বলছে, চলতি মাসের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের চুক্তিতে সম্মত না হওয়ায় পাকিস্তানে বিদ্যুৎ সংকট কেবল বেড়েই চলেছে। তবে, লোডশেডিং মোকাবিলায় শেহবাজ সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
একেবারে শ্রীলঙ্কার মতো না হলেও দ্বীপরাষ্ট্রটির বর্তমান অবস্থা থেকে পিছিয়ে নেই পাকিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিও বিদেশি ঋণে জর্জরিত। নজিরবিহীন এ সংকট পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কয়েক দফায় পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে সরকার। একের পর এক দর পতন হচ্ছে দেশটির মুদ্রার। খোলাবাজারে ২১২ রুপির বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ ডলার। এখনও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে। অথচ ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর উর্দু ভাষার দেশটিতে এ অবস্থা কখনও দেখা যায়নি।
এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়াত্বের পথ ধরেছে পাকিস্তান। বর্তমান অর্থনৈতিক নীতি বিদ্যমান থাকতে শ্রীলঙ্কার মতোই পরিস্থিতি হবে আমাদের।