প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে। মাত্র তিন দিনের বৃষ্টিতেই সৃষ্ট বন্যায় দেশটিতে মারা গেছে কমপক্ষে ৬৪ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেশটির খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের। সেখানে বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, সিন্ধু প্রদেশে ১২ জন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান ও পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশে ৮ জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশের উত্তরে গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছে। পাঞ্জাবেও বন্যা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে।
বন্যার বন্যায় চারটি সেতু ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে, তিনটি বালুচিস্তানে এবং একটি খাইবার পাখতুনখাওয়ায়। কয়েকশো গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। তারা হেলিকপ্টারে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার করছেন। এছাড়া বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে ত্রাণ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজও করছে সেনাবাহিনী।
বৃষ্টি হলেই প্রতি বছর পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলো এ ধরণের জলাবদ্ধতা ও বন্যার মুখে পড়ে। এ জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও দুর্বল পরিকল্পনাকে দায়ি করা হয়। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে প্রতি বছরই বন্যায় ফসল ও অবকাঠামোগত ক্ষতির মুখে পড়ে পাকিস্তান।
গত তিন দিনের বৃষ্টির পর দেশটিতে নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই। বালুচিস্তান প্রদেশের দুর্যোগ মোকাবেলা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ইউনুস আজিজ জানিয়েছেন, শুধু ওই প্রদেশেই এক ডজনের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। সেখানে ব্রিজ ও হাইওয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গোয়াদার বন্দর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সূত্র : শিনহুয়া নিউজ।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন