রাত পোহালেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। সপ্তাহজুড়ে হামলা-বিস্ফোরণ এবং নানা রাজনৈতিক নাটকীয়তার পর আগামী বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পার্লামেন্টে নির্বাচন হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে। এদিন ভোট দিয়ে নতুন জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবে পাকিস্তানের ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার। ভোট হবে চার প্রদেশের আইনপ্রণেতাদের নির্বাচনেও।
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় বসার সঙ্গে সঙ্গে একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে পাকিস্তানের নতুন সরকারকে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো কী কী-
অর্থনীতি পুনরুদ্ধার
গত গ্রীষ্মে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার বেইলআউটের মাধ্যমে শেষ মুহূর্তে ঋণখেলাপি হওয়া এড়ায় পাকিস্তান। কিন্তু সংস্থাটির সহায়তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী মার্চ মাসে।
এ অবস্থায় নতুন সহায়তা কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা এবং সেটি দ্রুত গতিতে বাস্তবায়ন করা জরুরি হবে পাকিস্তানের নতুন সরকারের জন্য। একইসঙ্গে, রেকর্ড মূল্যস্ফীতি এবং ধীর প্রবৃদ্ধির সমস্যাও সামলাতে হবে তাদের।
রাজনৈতিক উত্তাপ কমানো
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দলের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগে দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। সাবেক ক্রিকেট তারকা গত আগস্ট মাস থেকে কারাগারে বন্দি। এটি তার লাখ লাখ সমর্থককে ক্ষুব্ধ করেছে।
গত সপ্তাহে তিনটি মামলা ইমরান খানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ কারাবাসের রায় দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা বিচারাধীন, যার মধ্যে অন্যতম সামরিক স্থাপনায় হামলার মামলা। এর অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইমরানের মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
পাকিস্তানে এখনো ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে ইমরান খানের। ফলে, তার ও তার দলের ওপর দমন-পীড়ন দেশটিতে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি সামলানো জরুরি হবে ক্ষমতাসীনদের জন্য।